ঘামাচি থেকে বাঁচার উপায়



প্রখর খরতাপে ঘামের সঙ্গে যে সমস্যা দেখা দেয় তা হলো ঘামাচি। আকারে ছোট হলেও এর চুলকানির যন্ত্রণা অনেকেই সহ্য করতে পারেন না।


গরমে আমাদের শরীরে ঘামের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরকে ঠান্ডা রাখতে ত্বকের লোমকূপের ভেতর থেকে ঘাম বেরিয়ে আসে। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়।


এ সময় ঘামে থাকা লবণের জন্য কোনো কারণে লোমকূপ যদি আটকে যায় তখনই ঘাম শরীর থেকে বের হতে না পেরে ত্বকে ঘামাচির সমস্যা সৃষ্টি করে।


ঘামাচি দূর করার ঘরোয়া সমাধান


আইসব্যাগ বা গামলায় ঠান্ডা পানি বা বরফ নিয়ে ঘামাচি আক্রান্ত স্থানগুলোতে সেঁক দিন। অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে সেঁক দেবেন।


ঘামাচির ওপর ঘৃতকুমারীর (অ্যালোভেরা) নির্যাস বা হলুদের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর রস মিশিয়ে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। বেশ উপকার পাবেন।


ঘামাচি তাড়াতে নিমপাতা এক দারুণ প্রাকৃতিক দাওয়াই। গোলাপজলমিশ্রিত নিমপাতার রস ঘামাচির ওপর লাগালে ঘামাচি মরে যায়।


ত্বক ও চুলের যত্নে মুলতানি মাটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে এটি চর্মরোগের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও কার্যকর। এই মাটি গোলাপজল দিয়ে পেস্ট করে ঘামাচির ওপর লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ রাখার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলবেন।


ঘামাচি দূর করায় বেকিং সোডাও বেশ উপকারী। ঠান্ডা পানিতে বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তাতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে ত্বকে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর হাত দিয়ে ধীরে ধীরে মুছে নিন।

বৃষ্টির পানিও ঘামাচি দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। বৃষ্টি হলে ভিজতে পারেন।


সম্ভব হলে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঠান্ডা ঘরে থাকুন। না হলে ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা চালু রাখুন। দরজা-জানালা খোলা রাখুন, যেন বাতাস চলাচল করতে পারে। গরম আবহাওয়া এড়িয়ে চলুন।

Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post