মাত্রাতিরিক্ত হাত ঘামে, কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?


হাত ঘেমে যাওয়ার সমস্যাটি স্বাভাবিক, তবে সবসময় যদি এ লক্ষণ দেখা দেয় তাহেলে সতর্ক থাকতে হবে। এসিতে থাকলেও এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যাদের এই সমস্যা আছে তাদের এখনই সতর্ক হওয়া জরুরি। অতিরিক্ত হাত ঘামলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

তবে ঠিক কী কী কারণে হাত ঘামে, এটি কোনো কঠিন রোগের লক্ষণ নয় তো?

ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে হাতের তালু ঘামে। তাই দীর্ঘদিন ধরে হাতের তালু ঘামলে একবার রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নিন আপনি অজান্তেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কি না।

থাইরয়েড

থাইরয়েডের সমস্যাতেও হাতের তালু ঘামতে পারে। তাই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন কি না তা জানতে পরীক্ষা করুন ও এর সঠিক চিকিৎসা করুন।

হৃদরোগ

হাতুর তালু ঘামার লক্ষণ হৃদরোগের ইঙ্গিত হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সারা বছর হাতের তালু ঘামে না। তবে বিগত কয়েক মাস/সপ্তাহ ধরে এ সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ

তালুতে নানা ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ হতে পারে। এ কারণেও অতিরিক্ত হাত ঘামতে পারে। তাই ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন। এছাড়া সঙ্গে সুতির পাতলা কাপড় রাখুন, যাতে হাত ঘামলেই মুছতে পারেন।

যে কারণেই হাতের তালুতে ঘাম হোক না কেন চাইলে কয়েকটি ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে এ সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। যেমন-

বেকিং সোডার ব্যবহার

তালুর ঘাম কমানোর সহজ রাস্তা হতে পারে বেকিং সোডা। সামান্য বেকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার মিশ্রণটি হাতে মেখে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

আপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হাতের তালুতে একটু আপেল সিডার ভিনেগার মেখে নিন। সকালে উঠে সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে তালুর ঘাম কমবে। প্রতিদিন আপেল সিডার ভিনিগার পানিতে মিশিয়ে পান করলেও উপকার মিলবে।

সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে


Post a Comment

Please Select Embedded Mode To Show The Comment System.*

Previous Post Next Post